সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা: জাহিদ মালেক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সেম্পলগুলো রূপগঞ্জে টেস্ট হোক এটিই আমি মনে করি। ওখানে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের যে কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদেরকে আমাদের এই পরামর্শ রইল।
বুধবার ( ২৯ এপ্রিল ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন বেস্টওয়ে সিটিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজী কোভিড-১৯ রিয়েল টাইম পিসিআর টেস্ট ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যার উদ্যোগে এই নারায়ণগঞ্জে যেটা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের জন্য হটস্পট। এখানে পিসিআর ল্যাব খুবই জরুরি ছিলো। সেই ল্যাবটি উনি নিজ উদ্যোগে স্থাপন করেছেন। তার জন্যে উনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনার প্রতিষ্ঠানের যারা আছেন, বিশেষ করে উনার ছেলে উনার মিসেস এবং এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমডি যারা আছেন। যারা এই ল্যাবের ব্যবস্থা করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।বিশেষ করে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। যিনি কোভিড যুদ্ধে আমাদেরকে সরাসরি আমাদের সাহায্য সহযোগিতা এরং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন । আপনারা জানান নারায়ণগঞ্জ একটি হট স্পট। বাংলাদেশে যত রোগী আছে তার একটি বিরাট অংশ আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে পেয়ে থাকি। আজকে এই পিসিআর ল্যাব এখানে স্থাপনের মাধ্যমে আমি মনে করি আমাদের রোগীর যে শনাক্তকরণ আমাদের সেই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেল। যার মাধ্যমে আমাদের রোগীকে আইসোলেশনে নেওয়া ,চিকিৎসা দেওয়া সেই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেল। তাতে আমি মনে করি সংক্রমনে কমবে এবং অনেক জীবন রক্ষা পাবে। আপনারা জানেন আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম মাত্র ১ টি ল্যাব নিয়ে। এখন সেই ল্যাব প্রায় ২২ টি।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারীভাবে এই প্রথম ল্যাব চালু হলো । আমি সত্যিই আনন্দিত। এই সময় এই ল্যাবটি চালু হওয়াতে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্যে একটি বিরাট আমি মনে করি উপহার হলো। বিরাট সাহায্য হলো। আমি আশা করব আরো যারা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশে তারাও এগিয়ে আসবেন গাজী গ্রুপের মতো। তাদের এলাকাতে ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে পরীক্ষা বৃদ্ধি করবে। যতবেশি পরীক্ষা করতে পারব ততবেশি শনাক্ত হবে। আমরা বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারব, আইসোলেশনে নিতে পারব এবং সংক্রমন কমে যাবে।
রূপগঞ্জে গাজী পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১১০ টি কোভিড হাসপাতাল আমরা স্থাপন করেছি। নারায়ণগঞ্জেও স্থাপিত হয়েছে। আমরা পিপিই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেকদিন ৫০ হাজার লেগে থাকে তা আমরা ব্যবস্থা করেছি।একমাস আগেও কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। লক্ষাধিক লোক আমরা কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। বাংলাদেশ ইউরোপ এবং আমেরিকার তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালোই আছে। সকালের কাজের মাধ্যমেই আমরা কমে রাখতে পারছি। করোনার বিরুদ্ধে একদিকে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে অন্যদিকে আমাদের অর্থনীতিকে দেশে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আবারও আমি গাজী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই উনারা ভালো সময়েও বাংলাদেশকে খেলাধুলার উপহার দিয়ে থাকেন। আজকে একটা ক্রাইসিস মোমেন্ট আছে সেই ক্রাইসিস মোমেন্টেও উনারা এগিয়ে আসছেন একটি ল্যাব যার মাধ্যমে চিকিৎসার একটি ভালো ব্যবস্থা উনারা করে দিলেন। সত্যিই আমি গাজী গোলাম দস্তগীর ভাইকে আন্তরিকভাবে আমি ধন্যবাদ জানাই।